হোম > সারা দেশ > ঢাকা

করিমগঞ্জে বাড়ির সীমানা মাপামাপি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় বাড়ির সীমানা মাপামাপি নিয়ে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর হয়েছে বাড়িঘর। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উপজেলার গুণধর ইউনিয়নের উত্তর আশতকা মানিকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জনের নাম পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর আহত। এক পক্ষের আহতদের মধ্যে আছেন মৃত ফালান মিয়ার ছেলে চান মিয়া (৫০), তাঁর ছোট ভাই তারা মিয়া (৪৫), শাহেদ মিয়ার ছেলে গোলাপ (৫৫), গোলাপের ছেলে আনোয়ার (২৫) ও নুর ইসলামের ছেলে নবী হোসেন (২৮)। আরেক পক্ষের আহতদের মধ্যে আছেন হারেছ মিয়ার ছেলে রফিকুল (৩০), তাঁর ছোট ভাই হামিদুল (২৫), হোসেন আলীর ছেলে ধনু (৩০) এবং জিয়া রহমান (৩৫) ও গিয়াস উদ্দিন (৪৫)। তাঁদের কেউ করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, কেউ কিশোরগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ও আবার কেউ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উত্তর আশতকা মানিকপুর গ্রামের আছির উদ্দিন মেম্বার বংশের মৃত ফালান মিয়ার ছেলে চান মিয়া এবং একশো-দশ ঘরিয়া বংশের হারেছ মিয়ার মধ্যে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ ছিল। শনিবার দুপুরে বিষয়টি মীমাংসার জন্য গ্রামে একটি সালিস বসে। সিদ্ধান্ত হয়, দুই পক্ষের বাড়ি মাপামাপি করে সীমানা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এর মধ্যে দুই পক্ষের বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। দুই পক্ষের লোকজনই প্রথমে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি এবং পরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায়। ভাঙচুর করা হয় বাড়িঘর। সংঘর্ষের খবর পেয়ে করিমগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে আছির উদ্দিন বংশের লোকজন একশো-দশ ঘরিয়াদের ওপর আক্রমণ করলে দশ-ঘরিয়ারাও পাল্টা আক্রমণ চালান। গ্রামের ভেতরের রাস্তার দুপাশে দুই বংশের লোকজন অবস্থান নেয়। দফায় দফায় এই সংঘর্ষ হয়। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 

গুণধর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও উত্তর আশতকা গ্রামের বাসিন্দা আবু জুনায়েদ বাচ্চু জানান, সংঘর্ষ ভয়াবহ আকার ধারণ করলে বিষয়টি তিনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জানান এবং পুলিশকে খবর দেন। এ ঘটনায় উত্তর আশতকা গ্রামে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। 

গুণধর ইউপি চেয়ারম্যান আবু সায়েম রাসেল ভূঁইয়া বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়েই পরিষদের পক্ষ থেকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। সংঘর্ষের পর এলাকায় যাই আমি। দুই পক্ষের তিনজন তিনজন করে ছয়জনকে দায়িত্ব দিয়ে এসেছি যেন আর সংঘর্ষ না ঘটে। আহতদের খোঁজখবর নিচ্ছি। বিষয়টা যেন আর বাড়তে না পারে সে জন্য এলাকাবাসীকে নিয়ে আমরা বসব।’ 

করিমগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যত দ্রুত সম্ভব পুলিশ পাঠানো হয়। আমি নিজেও ঘটনাস্থলে যাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কোনো পক্ষই এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে।’

ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর বিরুদ্ধে থানায় জিডি

সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেলের কারখানা পরিদর্শনে ভোক্তা-অধিকারের কর্মকর্তারা

আন্তকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মাইলস্টোন কলেজের সাফল্য

পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

ব্রির ছয় দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা শুরু

সিরাজদিখানে কুকুরের কামড়ে ৫ শিশুসহ আহত ১৫

সাবেক এমপির নামফলক ভেঙে গণপিটুনি খেলেন শ্রমিক দল নেতা

নাগরপুরে আ.লীগ নেতা কুদরত আলী গ্রেপ্তার

ইসমাইলের মৃত্যু: ডেলটা হেলথ কেয়ারের চিকিৎসকসহ ৫ জন কারাগারে

অতিরিক্ত সচিব সেলিমের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭

সেকশন