নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত ও হতাহতের ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শূরায়ী নেজামপন্থী মাওলানা এসএম আলম হোসেন জিএমপির টঙ্গী পশ্চিম থানায় এ মামলা করেন। মামলা নম্বর—৯। মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েক শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, পুলিশের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও বৃহস্পতিবার ইজতেমা মাঠের বিভিন্ন স্থানে কিছু মুসল্লি অবস্থান করছেন। তাদের দাবি, কাঁথা-বালিশসহ বিভিন্ন মালামাল পাহারা দিতে মাঠে রয়েছেন তারা। এ ছাড়া, ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। তবে মাঠের ভেতর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ইজতেমা ময়দান সংলগ্ন স্টেশন রোডের মোড়, মুন্নু গেট-কামারপাড়া সড়ক, ইজতেমা মাঠে প্রবেশের ফটকসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছেন বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। এ সময় কিছু মুসল্লিদেরও বাঁশ হাতে নিয়ে ইজতেমা মাঠে প্রবেশের বিভিন্ন গেটে পাহারা দিতে দেখা গেছে।
মাঠে থাকা মুসল্লি খায়রুল বাশারসহ কয়েকজন জানান, মাঠে অবস্থানকারীরা সবাই মাওলানা জুবায়ের অনুসারী। মাওলানা সাদ অনুসারীরা মাঠ খালি করে দেওয়ার পর গত বুধবার রাতের বিভিন্ন সময় তারা ইজতেমা মাঠে এসেছেন। এসব মুসল্লিসহ আমরা ইজতেমা ময়দানের জিম্মাদার। তারা জানান, মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে মুরব্বিদের নির্দেশনা অনুযায়ী ইজতেমা ময়দানের যাবতীয় মালামাল পাহারা দিতে বিভিন্ন জামাতভুক্ত প্রায় পাঁচ শ সাথি মাঠে এসেছেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এন এম নাসিরুদ্দিন জানান, বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুপক্ষের সভা শেষে মাঠে থাকা মালামাল পাহারা দেওয়ার জন্য জুবায়ের অনুসারীদের পাঁচ শ লোক থাকার সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা মাঠে অবস্থান করছেন। তবে পুলিশের নির্দেশনা কার্যকর রয়েছে। মাঠ ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে বুধবার দুপুরে ময়দানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে পুলিশের গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর সাদ অনুসারীরা ইজতেমা মাঠ ত্যাগ করেন।