হোম > সারা দেশ > ঢাকা

সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগী নিখোঁজ, পরদিন লাশ মিলল টয়লেটে 

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

নিখোঁজের এক দিন পর শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের টয়লেট থেকে এক ভর্তি থাকা রোগীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে হাসপাতালের তৃতীয় তলার একটি টয়লেট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। 

ওই ব্যক্তির নাম বাবুল ব্যাপারী (৪২)। তিনি বরিশাল জেলার মুলাদী থানার তয়কা গ্রামের মৃত আলী ব্যাপারীর ছেলে। তিনি পেশায় নির্মাণশ্রমিক ছিলেন। 

পুলিশ, রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বেলা ২টার দিকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে বাবুল শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিন বৃহস্পতিবার রাতে বৃদ্ধা মা রোকেয়া বেগম বাবুলের সঙ্গে হাসপাতালে ছিলেন। দিবাগত রাত ২টা থেকে বৃদ্ধ মা রোকেয়া বেগম ছেলে বাবুলকে হাসপাতালে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। 

পরে বৃদ্ধা হাসপাতালের নার্সকে জানালে তাঁরা তেমন গুরুত্ব দেননি। পরদিন শুক্রবার সকাল থেকে আবারও বৃদ্ধ মা রোকেয়া বেগম ছেলে বাবুলকে খুঁজতে থাকেন। ছেলেকে খুঁজে না পাওয়ায় হাসপাতালের নার্সরা বৃদ্ধাকে বাড়ি চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তিনি বাড়ি চলে যান এবং ঘটনা সবাইকে জানান। 

ঘটনা জানার পর মা রোকেয়া বেগমসহ স্বজনেরা বাবুলকে খুঁজতে খুঁজতে আবারও সদর হাসপাতালে যান। শুক্রবার দিনভর হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকায় তাঁকে খোঁজ করেও স্বজনেরা পাননি। ওই দিন সারা রাত হাসপাতালেই ছিলেন তাঁরা। 

আজ সকালে এক রোগীর স্বজন টয়লেটের ভেতর বাবুলের মরদেহ দেখতে পান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে টয়লেটের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে বেলা ১টার দিকে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। 

মা রোকেয়া বেগম আজ দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে বিলাপ করছিলেন আর বলছিলেন, ‘বাপরে অনেক খুঁজছি, পাই নাই। হাসপাতালের লোক বলছে, আপনার ছেলে হাসপাতালে নাই, এখানে থাইক্কা লাভ নাই, বাড়ি যানগা। এহন শুনি টয়লেটে আমার বাবার লাশ পাওয়া গেছে। আমার বাবা কীভাবে মরল?’ 

বাবুলের বড় ভাইয়ের মেয়ে হেনা আক্তার বলেন, ‘আমার দাদি নার্সদের জানানোর পরও নার্সরা কোনো গুরুত্ব দেননি। উল্টো তারা আমার দাদিকে বলেছে, আপনার ছেলে এখানে নাই তাহলে আপনি বাড়ি চলে যান। এখানে থেকে লাভ নাই। এখন হাসপাতালের টয়লেটে আমার কাকার লাশ কীভাবে আসলে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই, বিচার চাই।’ 

জাকির হোসেন নামের এক লোক মারামারির ঘটনায় ৩ জুলাই থেকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ভর্তি ছিলেন। তাঁর পাশের বেডেই বাবুল চিকিৎসাধীন ছিলেন। 

জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বৃদ্ধ বলতেছেন, তাঁর ছেলেকে তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। তখন আমরাও খুঁজে বাবুলকে পাইনি। হাসপাতালের লোকজনকে জানানোর পরও তারা কোনো গুরুত্ব দেননি। আজ দুদিন পর টয়লেটে তার লাশ পাওয়া যায়। হাসপাতালের টয়লেট নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। পরিষ্কার করতে গেলেও রোগীটাকে পাওয়া যেত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারে না।’ 

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, রোগীর সঙ্গে ৮০ বছর বয়স্ক তাঁর মা ছিলেন। তিনি সঠিকভাবে বলতে পারেনি বিধায় হয়তো বিষয়টি কেউ গুরুত্ব দেননি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত রিপোর্টে যদি কারও দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেঝবাহ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, হাসপাতালের তৃতীয় তলার টয়লেট থেকে এক রোগীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্ত শেষে আজ দুপুরে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বাজারে মধ্যস্বত্বভোগী কমলে ইলিশের দাম কমানো সম্ভব: মৎস্য উপদেষ্টা

জাবিতে পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশে দিল ছাত্রদল

৩৬০ টন জ্বালানি তেলবাহী জাহাজে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৮

বিএফআইইউয়ের সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন

শিবচরে ট্রাকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু

এস কে সুরের বাসায় দুদকের অভিযান, ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার

বকেয়া বেতন ও চাকরি স্থায়ীর দাবিতে মন্ত্রণালয়ের সামনের রেলওয়ে গেটকিপারদের অবস্থান

প্রধান উপদেষ্টার সাবেক সহকর্মী পরিচয়ে পুলিশের কাছে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ১

সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ইউপিতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ভাঙচুর

সেকশন