কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে বিএনপি নেতা মো. আবুল হাছান রতন (৫৫) হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চর আশিয়া এলাকা থেকে কিশোরগঞ্জ র্যাব-১৪–এর ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের গ্রেপ্তার করেন।
আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১৪–এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার লুৎফা বেগম বিষয়টি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেন।
গত রোববার (১২ জানুয়ারি) রাউতি ইউনিয়নের বানাইল গ্রামে উপজেলা কমিটির কাউন্সিল ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল হাছান রতন নিহত হন। তিনি রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির দুবারের সভাপতি ছিলেন।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ১৩ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ১৫ জনকে আসামি করে নিহত আবুল হাছান রতনের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী অজিফা খানম বাদী হয়ে তাড়াইল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, জেলার তাড়াইল উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের বানাইল গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৮) ও তাঁর স্ত্রী নাজমা (৪০), একই ইউনিয়নের কারংকা গ্রামের তোজাম্মেলের ছেলে শাখাওয়াত (৩৮) এবং রাউতি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুর শরীফ উদ্দিন ভূঞা জুয়েল (৫০)। নুর শরীফ উদ্দিন ভূঞা জুয়েল কারংকা গ্রামের নূর উদ্দিন ভূঞার ছেলে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১১ জানুয়ারি রাতে বানাইল বাজারে বিএনপি সভাপতি পদের কাউন্সিল সামনে রেখে গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপির সভাপতি আবুল হাছান রতনকে উদ্দেশ্য করে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া হয়। ১২ জানুয়ারি সকালে রতন গিয়াস উদ্দিনকে বক্তব্যের কারণ জিজ্ঞাসা করলে উত্তেজিত হয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালানো হয়। হামলায় রতনের বুকে এবং মাথায় আঘাত করা হয়। পরে তাঁকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবির জানান, মামলার পরপরই ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য তাড়াইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।