হয়রানি ও অযথা জরিমানা বন্ধের দাবিতে দোকান বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সার্জিক্যাল ব্যবসায়ীরা। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে মিটফোর্ড, বাবুবাজার, বিএমএ ভবনসহ সব মেডিকেল ও সার্জিক্যাল ব্যবসায়ীদের অযথা হয়রানি, জেল-জরিমানা করার প্রতিবাদে ধর্মঘট ও অবস্থান কর্মসূচি করছেন তাঁরা।
সার্জিক্যাল ব্যবসায়ীদের তুলে ধরা দাবিগুলো হলো—
ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে হয়রানি করা যাবে না।
অভিযানের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
সোর্সের মাধ্যমে দোকানদারদের ওপর নজরদারি বন্ধ করতে হবে।
যদি সুনির্দিষ্ট কোনো দোকানদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ থেকে থাকে, তাহলে ব্যবসায়ী সমিতির মাধ্যমে অভিযান করতে হবে।
বৈধভাবে আমদানি করা পণ্য ঢালাওভাবে ডিএআরের অজুহাতে দোকানদারদের জরিমানা বা হয়রানি করা যাবে না।
উল্লেখ্য, র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে র্যাব-১০ এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় গত ২২ আগস্ট দুপুর থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রায় ১২ ঘণ্টাব্যাপী মিটফোর্ড এলাকার বিভিন্ন ওষুধের মার্কেটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে নকল গ্লুকোজ টেস্ট স্ট্রিপ, ভিটামিন ডি৩ ইনজেকশনসহ বিপুল পরিমাণ নিবন্ধনবিহীন ওষুধ এবং মেডিকেল ডিভাইস পাওয়া যায়, যা পরে যথানিয়মে জব্দ করা হয়। জব্দ করা ওষুধের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।
অভিযুক্ত ২৪টি প্রতিষ্ঠান ও ফার্মেসিকে মোট ৪২ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান পরিচালনাকালে র্যাব-১০-এর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মুহিদ ইসলামসহ অত্র দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।