টাঙ্গাইলের সখীপুরে পল্লি চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিতে গিয়ে এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে গতকাল সোমবার রাতে সখীপুর থানায় মামলা করেছেন।
অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম মঞ্জুরুল ইসলাম মজনু (৫১)। তিনি উপজেলার মহানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় বাজারের মাহমুদা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী।
মামলা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূ (৪২) শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় গত রোববার ইফতারের পর চিকিৎসক মজনুর দোকানে যান। তিনি ওই নারীকে সেখানে বসিয়ে রেখে তারাবির নামাজের সময় দোকানের শাটার নামিয়ে দেন। পরে স্যালাইন পুশ করার কথা বলে মুখ চেপে ধরে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন।
ওই গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার পর অভিযুক্ত চিকিৎসক আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। পরে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের কাছে বিষয়টি জানাই। আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’ তবে অভিযুক্ত পল্লি চিকিৎসকের পরিবারের দাবি, তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্ম কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।