সাবেক সংসদ সদস্য (যশোর-৩), বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী শাহেদ আহমেদের ছেলে ও গেমকন গ্রুপের মালিক কাজী নাবিল আহমেদ, তাঁর মা এবং দুই ভাই কাজী আনিস আহমেদ ও কাজী ইনাম আহমেদের নামে বিভিন্ন কোম্পানির চার কোটি ২৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৮টি শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেন বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান। দুদকের আবেদনে এসব শেয়ারের মোট মূল্য ২৬ কোটি ৪৪ লাখ ৬৮ হাজার দেখানো হয়েছে।
দুদকের উপপরিচালক রেজাউল করিমের করা এই আবেদনে বলা হয়, কাজী নাবিল আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের এবং তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ দুদক অনুসন্ধান করছে।
অনুসন্ধানে দুদক জানতে পেরেছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাঁদের ব্যাংক হিসাব থেকে অন্যত্র অর্থ স্থানান্তর ও হস্তান্তর করতে পারেন। তাঁরা যাতে এসব অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর ও স্থানান্তর বা অন্য কোনো উপায়ে মালিকানা পরিবর্তন বা উত্তোলন করতে না পারেন, তাই অবরুদ্ধকরণ (ফ্রিজ) আবশ্যক।
আদালত শুনানি শেষে ৩৬টি কোম্পানির এসব শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ দেন। ৩৬টি কোম্পানির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—জেমকন লিমিটেড, চরকা এসপিসি পোলস লিমিটেড, কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট, জেমিনি এগ্রো, চরকা স্টিল, জেমকন স্পোর্টস, জেম গ্লোবাল, মিনা রিটেইলস, আজকের কাগজ, খবরের কাগজ, বাংলা ট্রিবিউন ইত্যাদি।
১৮ ফেব্রুয়ারি কাজী নাবিল আহমেদ, কাজী আনিস আহমেদ ও কাজী ইনাম আহমেদ এবং তাঁদের মা কাজী আমিনা আহমেদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নাবিল পরিবারের ১২৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেন একই আদালত।