শ্রমিকদের ঈদের বোনাস বেসিক বেতনের চেয়ে কম হয়। ন্যূনতম বেতন অনুযায়ী যে সকল শ্রমিক বেতন পান, তারা ঈদের বোনাস ৪ হাজারের বেশি পান না। কিন্তু এই শ্রমিকগুলো যখন ঈদে বাড়ি যেতে চান তখন বাসের বাড়তি ভাড়া শ্রমিকদের ঘাড়েই পড়ে। বাসের পাঁচ-ছয় শ টাকার ভাড়া এখন ১৫০০-২০০০। আপ-ডাউন করতে গেলে শ্রমিকদের প্রায় ৪ হাজার টাকা খরচ। তাহলে বোনাসের টাকা কাদের পকেটে গেল? সব তো পরিবহন মালিকেরা নিয়ে গেল। আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বলছিলেন গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের (বিজিএসএফ) সভাপতি অরবিন্দ বেপারী বিন্দু।
আজ রোববার মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে এ বক্তব্য দেন তিনি। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাসস্ট্যান্ডের কাছে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন। এ আয়োজনে সংহতি জানায় বিজিএসএফ।
শ্রম দাসত্ব আর নয়, নিরাপদ কর্মস্থল, জীবন-যাপনের জন্য সময় উপযোগী মজুরি নির্ধারণ, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, শ্রম আদালতে মামলা ১৫০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি ও রেশনিং চালু করার দাবিতে মিছিল করেন তাঁরা। মহান মে দিবসের ডাক ২০২২ এর ব্যানারে এ দাবি তুলে ধরেন তাঁরা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন ও আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জহিরুল ইসলাম সরকার, সালাউদ্দিন, ফাতেমা আক্তার, নুরুজ্জামাল, এস কে শুভ, শাজাহান মিয়া।