নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘১০ ডিসেম্বর ঢাকার গণসমাবেশে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি জনসমাগম হয়েছে। তারপরও সরকার যদি এটাকে ব্যর্থ বলে তাহলে কিছু বলার নাই। সরকার দিশেহারা, তারা কোন সময় কী বলবে তা নিয়ে আমরা ভ্রুক্ষেপ করিনা। দেশের জনগণও জানে সরকার যা বলে তা করে না।’
আজ সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে কার্যালয়ে আসেন মোশাররফ। এ সময় কার্যালয় ঘুরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে ভাঙচুরের অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মোশাররফ বলেন, ‘পুলিশ ও আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনী নজিরবিহীন বর্বরতা চালিয়েছে বিএনপি অফিসে। ফাইলপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ নথি, কম্পিউটার, হার্ডডিস্ক, অর্থ লুট, সকল অঙ্গ সংগঠনের অফিস ভাঙচুর, জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল পর্যন্ত ভেঙে ফেলেছে। যেভাবে হামলা চালিয়েছে তা বিশ্বে নজিরবিহীন। নিন্দা করার ভাষা নাই। কী কী খোয়া গেছে তার তালিকা করছি। তারপর সিদ্ধান্ত নেব কী করব।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মইন খান বলেন, ‘১০ তারিখের সমাবেশের লক্ষ্য ছিল মানুষের সামনে তুলে ধরা বর্তমান সরকারের চরিত্র। বিরোধী দল সরকারের একটি অঙ্গ, তাদের নিশ্চিহ্ন করে দিলে রাষ্ট্রব্যবস্থা থাকতে পারে না এবং নেইও।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকারের নির্দেশে তাদের দলের কর্মীরা ১০ তারিখ ঘিরে এমন কোন অপকর্ম নাই করেনি। আতঙ্কিত করছে সরকার। বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে দেখিয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলন গণতান্ত্রিকভাবে করব, এবং এই সরকারের বিদায় জানাব।’
চার দিন বন্ধ রাখার পর গতকাল রোববার বিএনপির নয়াপল্টনের কার্যালয় খুলে দেয় পুলিশ। এরপর থেকে নেতা কর্মীরা আসতে শুরু করে বিএনপির এই কার্যালয়ে।