নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টসহ পরিচয় নিশ্চিতের সকল ক্ষেত্রে বাবা–মায়ের সঙ্গে আইনগত অভিভাবক যুক্ত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও নারী পক্ষের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
স্বরাষ্ট্রসচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নির্বাচন কমিশনের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এই বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপ আগামী চার মাসের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনুন নাহার সিদ্দিকা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। আইনুন নাহার আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেমন –ইপাসপোর্টে বাবা–মা এবং অভিভাবকও আছে। আবার সাধারাণ পাসপোর্ট ফরমে বাবা–মা আছে, অভিভাবক নেই। এনআইডিতে বাবা ও মা বাধ্যতামূলক। একেকটা একেক রকম।
তিনি বলেন, সব জায়গায় একই রকম করার জন্য আমরা বলেছিলাম। মানে সব ফরমে যাতে যে কোনো একজনের বিধান রাখা হয়। বাবা অথবা মা অথবা আইনগত অভিভাবক–এরকম বিকল্প রাখতে হাইকোর্ট রুল দিয়েছেন এবং চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন বলা হয়েছে।