রাজধানীর পল্লবী থানায় চাঁদাবাজির মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী ও জয়যাত্রা টিভির চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য চার আসামি হলেন-জয়যাত্রা টিভির জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্ল্যাহ নূরী ও স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ার। মাহফুজ শাহরিয়ার পলাতক রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে গত ২ আগস্ট রাতে পল্লবী থানায় সাংবাদিক আব্দুর রহমান তুহিন বাদী হয়ে একটি চাঁদাবাজির মামলা করেন। মামলায় জয়যাত্রা টিভির চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীর, জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্ল্যাহ নূরী, স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ারসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
গত ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান-২ নম্বর এলাকায় নিজ বাসা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) তাঁকে আটক করে।
হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ইয়াবা ও হরিণের চামড়া, ক্যাসিনো সরঞ্জাম, ওয়াকিটকি উদ্ধার করে র্যাব। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে গুলশান থানায় তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে।
মাদক আইন, বন্যপ্রাণী আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও টেলিযোগাযোগ আইনে একটি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়।
ওই দিন রাতেই পল্লবীতে জয়যাত্রা টেলিভিশন অফিসে অভিযান চালায় র্যাব। অনুমতি ছাড়া আইপি টেলিভিশন সম্প্রচার করায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে পল্লবী থানায় আরেকটি মামলা। এরপর জয়যাত্রা টেলিভিশনের ভোলা প্রতিনিধি আব্দুর রহমান বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, তাঁকে জয়যাত্রা টেলিভিশনের প্রতিনিধি নিয়োগ করার পর প্রতি মাসে তাঁর কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অঙ্কের টাকা চাঁদা নেওয়া হতো।