গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ছাত্রলীগ সন্দেহে সাফায়েত গাজী (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করতে গিয়ে বাধা পেয়েছে পুলিশ। এ সময় উত্তেজিত জনতা এক পুলিশকে অবরুদ্ধ করে গাড়ি ভাঙচুর করেন। হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যকে ছাড়িয়ে নেন।
আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেলের দিকে খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ লিফলেট বিতরণ করে। এ ঘটনায় সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগে সন্ধ্যার দিকে সাফায়েত গাজীকে আটক করে গাড়িতে তোলে টুঙ্গিপাড়া থানা-পুলিশ। এ সময় স্থানীয়রা পুলিশের গাড়ির গতি রোধ করে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা সাফায়েতকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ছাড়া একজনকে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে থানার অন্য পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এলে তাঁরাও স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েন। পরে ইউএনও মো. মঈনুল হক ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যকে ছাড়িয়ে নেন। এরপর ওই পুলিশ সদস্যকে টুঙ্গিপাড়া থানার ওসির কাছে হস্তান্তর করেন। এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যদের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকায় আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিতে স্থানীয়রা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্য রয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
ইউএনও মঈনুল হক বলেন, ‘পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও এক পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তখন উত্তেজিত জনতাকে বুঝিয়ে শান্ত করে পুলিশ সদস্যকে নিয়ে এসে টুঙ্গিপাড়া থানার ওসির কাছে বুঝিয়ে দিই। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’