নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিভিন্ন সরকারি দপ্তর-অধিদপ্তরে আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল করে আউটসোর্সিং কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়েছে স্বাধীনতা আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর সচিবালয় লিংক রোডে এক মানববন্ধনে এই দাবিসহ আরও পাঁচ দফা দাবি জানায় সংগঠনটি।
মানববন্ধনে বক্তারা আউটসোর্সিং নীতিমালা অনুযায়ী সেবাগ্রহণ ও সেবা ক্রয়কারীর মধ্যে ঠিকাদারকে না রাখা, আউটসোর্সিং প্রথা বন্ধ করে আউটসোর্সিং ও দৈনিক মজুরিভিত্তিক নিয়োজিত সব কর্মচারীর চাকরি পর্যায়ক্রমে বয়স শিথিল করে স্থায়ী করা, সরকারি দপ্তর-অধিদপ্তর-পরিদপ্তরে বিনা অপরাধে বা ঠিকাদারকে ঘুষ না দিতে পারায় যাঁদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা, উৎসব ভাতাসহ সব ভাতা দেওয়া, আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত সব কর্মচারীর বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধ করা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশে দাসপ্রথায় মানব বেচাকেনা না করার দাবি জানান।
মানববন্ধনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এম এম জীবন বলেন, 'আউটসোর্সিংয়ে নিয়োজিত সরকারি দপ্তর-অধিদপ্তরে কর্মচারীদের দুঃখ-দুর্দশা অনেক। টেন্ডার জটিলতায় কর্মরত অনেকের চাকরি চলে যায়। বছর শেষে জুন মাসে চাকরি নবায়ন করার নামে বিপুল অঙ্কের ঘুষ দাবি করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, সেটি দিতে না পারলে চাকরি চলে যায়। প্রতি মাসে ঠিকমতো বেতন পাই না, কখনো কখনো পাঁচ থেকে ছয় মাস এমনকি দুই বছরও বেতন বকেয়া থাকে।'
আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত নারী কর্মীরা মাতৃত্বকালীন ছুটি থেকে বঞ্চিত হন জানিয়ে পরিষদের সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান আনিস বলেন, 'মাতৃকালে কর্মস্থলে উপস্থিত না হতে পারলে সেই বোন চাকরিচ্যুত হন। কোনো অপরাধ ছাড়াই বিনা কারণেই কথায় কথায় চাকরি চলে যায় দক্ষ কর্মচারীদের। সরকারি দপ্তর-অধিদপ্তর-পরিদপ্তরে এরই মধ্যে অনেকেই বিনা অপরাধে এবং ঠিকাদারকে ঘুষ না দিতে পারায় চাকরিচ্যুত হয়েছেন।'
মো. মাহবুবুর রহমান আনিস বলেন, 'এই মানুষগুলো ঝুঁকি ভাতা, প্রণোদনা, ঈদ বোনাস ও বৈশাখী ভাতা থেকে বঞ্চিত হন। প্রধানমন্ত্রী ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বেতন বিল পরিশোধ করার কথা বললেও ঠিকাদারেরা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা না দিয়ে হাতে হাতে টাকা দিয়ে থাকেন। আর ব্যাংকের চেক আউটসোর্সিং কর্মচারী থেকে আগেই নিয়ে রাখেন।'