ঢামেক প্রতিবেদক
ঢাকায় বেইলি রোডে ভবনে আগুনের ঘটনায় নিহত আরও একটি মরদেহ শনাক্তের পর হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁর নাম কে এম মিনহাজ উদ্দিন (২৬)।
আজ শনিবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়। এ সময় মিনহাজের বড় ভাই আমিনুল ইসলাম খান মরদেহটি বুঝে নেন।
রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আগুনের ঘটনায় দগ্ধ মিনহাজের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকালই মিনহাজের পরিবার ঘড়ি ও পেটের অপারেশনের দাগ দেখে মরদেহ শনাক্ত করেছিল।
তবে অন্য একটি পরিবার দাবি করায় ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ মর্গে মিনহাজসহ আরও দুটি মরদেহের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘মিনহাজের মরদেহ দাবি করা অন্য পরিবার আজ মর্গে বলেন এটা তাদের মরদেহ না। আমাদেরটা অন্য একটি হতে পারে। এরপর মিনহাজের পরিবারকে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়।’
বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর বিষয়ে এসআই হাবিব বলেন, গতকাল বৃষ্টির বাবা কুষ্টিয়া থেকে হাসপাতালে এসে দাবি করেন বৃষ্টি তাঁর মেয়ে। পরে রমনা কালীমন্দিরের সভাপতি রমনা থানায় লিখিতভাবে দাবি করেন, ‘মেয়েটি সনাতন ধর্মের। নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। বাড়ি ভারতে। সে বিভিন্ন সময় কালীমন্দিরে এসে পূজা করত। ডিএনএর মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হোক।’ এ কারণে বৃষ্টির মরদেহ তাঁর বাবার কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। মর্গে তাঁর ময়নাতদন্ত এবং ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মিনহাজের মরদেহ শনাক্ত করেন বড় ভাই আমিনুল ইসলাম খান।
আমিনুল জানান, তাঁদের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার ইসলামপুর গাছতলা গ্রামে। বর্তমানে সবুজবাগ বাসাবো খেলার মাঠ এলাকায় থাকেন। কারওয়ান বাজারে একটি কোম্পানির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে মিনহাজ ছিলেন ছোট। মিনহাজের হাতঘড়ি ও পেটের অপারেশনের দাগ দেখে মরদেহ শনাক্ত করা হয়।
আমিনুল আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন বন্ধুদের সঙ্গে বেইলি রোডের ওই ভবনে তৃতীয় তলায় খানাজ রেস্টুরেন্টে খাইতে গিয়েছিল।’
এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় নিহত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজালাল উদ্দিন, তাঁর স্ত্রী গৃহিণী মেহেরুন্নেছা জাহান হেলালী ও তাঁদের সাড়ে ৩ বছরের মেয়ে ফায়রুজ কাশেম জামিরার মরদেহ গতকাল স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজকে মিনহাজ উদ্দিন নামে আরও এক মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত এ নিয়ে ৪৪টি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি দুটি মরদেহ ময়নাতদন্তের পর ডিএনএ নমুনা মিলিয়ে তাঁদের দাবিদারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।