পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
মাছ চাষ করতে পদ্মা নদীতে বাঁশের বেড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়া এলাকায় এ বেড়া দেওয়া হয়। স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, বেড়ার কারণে চরের ফসল ঘরে আনতে নৌকা চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
অভিযুক্ত মো. লিয়াকত আলী খান বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। তাঁর দাবি, ইজারা নিয়ে বেড়া দিয়েছেন। তবে মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, এ রকম কিছুই হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আমবাড়িয়া ও ডাঙ্গীপাড়া এলাকায় নদীতে বাঁশ, চাটাই ও নেট দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। ১০০০ থেকে ১২০০ মিটার এলাকা আটকে রাখা হয়েছে। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. লিয়াকত আলী খানের নেতৃত্বে এই বেড়া দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, বেড়া দেওয়ার কারণে নৌকায় নদীর চর থেকে ফসল ঘরে আনতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। তা ছাড়া অনেক পরিবার আগে উন্মুক্ত নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরে নিজেদের চাহিদা মেটাত, এখন সেটি বন্ধ হয়ে গেছে। ইউনিয়নের আমবাড়িয়া থেকে ডাঙ্গীপাড়া পর্যন্ত দখল করে নিয়েছেন লিয়াকত। এই এলাকা এখন তাঁর দখলে।
অভিযুক্ত লিয়াকত আলী খান বলেন, ‘জায়গাটি আমি ইজারা নিয়েছি। এলাকার ২০০ লোক সঙ্গে নিয়ে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়ে এখানে মাছ চাষের উদ্যোগ নিয়েছি। এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি সবই জানেন।’
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. চাঁদ আলী খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের নাম ভাঙিয়ে অবৈধভাবে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। তবে নদীতে বেড়া দেওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য দপ্তরে কথা বলে আইন অনুযায়ী মাছ চাষ করতে বলা হয়েছে। আইনের বাইরে কিছু করার সুযোগ নেই। আইন অমান্য করে দলের কেউ কিছু করলে দল তার দায়ভার নেবে না।’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘নদীতে বেড়া দেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তাঁরা কোনো জলাশয় সরকারিভাবে ইজারা নেননি। নদীতে অবৈধভাবে বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করার সুযোগ নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’