নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী জীশান মির্জার নামে থাকা আরও ৬টি ফ্ল্যাট, ৫টি প্লট, ২টি অফিস স্পেস ও বান্দরবানে ২৫ একর জমির ব্যবস্থাপনা, তদারিক ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তত্ত্বাবধায়ক (রিসিভার) নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
দুদকের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম এই আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
যেসব সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ আনন্দ হাউজিং সোসাইটির ৬ কাঠার ৪টি প্লট, যার মোট জমির পরিমাণ ২৪ কাঠা এবং এর ওপর তৈরি স্থাপনা, যা সাভানা ইকো রিসোর্ট প্রাইভেট লি.–এর নামে রেজিস্ট্রি করা। গুলশানে ৩ কাঠা জমির প্লট ও এর ওপর তৈরি স্থাপনা যা জীশান মির্জার মালিকানাধীন।
বাড্ডায় রূপায়ণ মিলিনিয়াম স্কয়ারে ৮ম তলায় দুটি অফিস স্পেস ও দুটি কারপার্কিংসহ ১১০.৮০ অযুতাংশ জমি; যা সাউদার্ন বিজনেস ইনিশিয়েটিভের পক্ষে ম্যানেজিং পার্টনার জীশান মির্জার নামে রেজিস্ট্রি করা। বান্দরবানে ২৫ একর জমি ও এর ওপর তৈরি স্থাপনা এবং আদাবরের পিসি কালসার হাউজিংয়ে ৬টি ফ্ল্যাট।
উল্লেখ্য, এর আগে গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট, সাভার, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।