কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
চার বছর ধরে প্রতি রমজানে রোজাদারদের কাছে ১০ টাকা লিটারে দুধ বিক্রি করে আসছেন মো. এরশাদ উদ্দিন। ক্রেতার চাহিদার কথা ভেবে এবার উদ্যোগটা তিনি বড় করেছেন।
গত বছর দুই টন পরিমাণ দুধ বিক্রি করলেও এই রমজানে ২৫০ লিটার দুধ বেশি বিক্রি করবেন। সে অনুযায়ী রোজার প্রথম দিন থেকে প্রতিদিন ৭৫ জনের কাছে এক লিটার করে দুধ বিক্রি শুরু করেছেন এরশাদ উদ্দিন।
তিনি বাংলাদেশ মিলস্কেল রি-প্রসেস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেসি অ্যাগ্রো ফার্মের চেয়ারম্যান।
অন্যদিকে কিশোরগঞ্জের প্রায় প্রতিটি বাজারে গরুর দুধ লিটারপ্রতি ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। এতে করে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা পড়েছেন বিপাকে। তাঁরা বলছেন, অন্যান্য দেশে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম কমে আর আমাদের দেশে রমজান মাসকে পুঁজি করে দাম বাড়ায়। তবে এরশাদ উদ্দিন যে উদ্যোগটি হাতে নিয়েছেন, তাতে করে আমাদের দুধের চাহিদা কিছুটা হলেও মিটবে। ১২০ টাকা করে যেখানে দুধ বিক্রি হচ্ছে, সেখানে উনি ১০ টাকায় এক লিটার দুধ বিক্রি করছেন।
এদিকে স্বল্পমূল্যে রোজাদারদের কাছে নামমাত্র টাকায় দুধ বিক্রি করায় জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা এরশাদ উদ্দিন ও তাঁর খামার জেসি এগ্রো ফার্ম সরকারের কাছ থেকে পাচ্ছে বেস্ট প্র্যাকটিস সম্মাননা। আজ শুক্রবার বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবসে এরশাদ উদ্দিনকে এ সম্মাননা দেওয়া হবে।
জানা গেছে, এরশাদ উদ্দিনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের রৌহা গ্রামে। গত চার-পাঁচ বছরে নিজ এলাকায় এগ্রো ফার্মটি গড়ে তোলেন তিনি। সেখান থেকে তিনি প্রতিদিন ৭৫ লিটার দুধ পাচ্ছেন; যা তিনি ১০ টাকায় বিক্রি করছেন।