মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট শিশু গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের জন্য নতুন পথরেখা তৈরি করে মানবিক গুণাবলি জাগ্রত করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু-যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার সুবিধা প্রদান প্রকল্পের’ ব্রিজিং লিডারশিপ ইনিশিয়েটিভের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
২৭১ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু-যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার সুবিধা প্রদান প্রকল্প’ বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পটি যেমন কমিউনিটি পর্যায়ে নারীদের কর্মসংস্থান গড়ে তুলবে তেমন শিশুদের মানসিক ও শারীরিক ভাবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনারগোস গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ার মিস. পেগি ডুলানি।
সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু-যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার প্রকল্পটি ২০২২-২০২৪ মেয়াদে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ২৭১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। যেখানে বাংলাদেশ সরকার ২১৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা এবং ইউনিসেফ ৫৪ কোটি ২১ টাকা ব্যয় করছে। এ প্রকল্পে বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে রয়েছে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রোপিজ, এবং রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউট।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ, শিক্ষা এবং যত্ন প্রদান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে শিশুর সার্বিক বিকাশ, নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস করা।