নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পল্টন থানা এলাকায় যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হককে (৬৪) কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলায় তার রিমান্ড শুনানি হবে ২৪ নভেম্বর।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ আদেশ দেন।
গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর ডিওএইচএস এলাকা থেকে মহিবুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতে হাজির করে। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই ফেরদৌস আলম তাকে ৫দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
মামলার মূল নথি না থাকায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেন দেন। একই সঙ্গে রিমান্ড শুনানির জন্য ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
মামলার মূল নথি অন্য আসামির জামিন শুনানির জন্য ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে বুধবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর ডিওএইচএস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
গত বছর ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন এবং পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে পল্টন এলাকায় নিহত হন যুবদল নেতা শামীম।
এ ঘটনায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ ৭০৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় বলা হয়, গত বছর ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ নস্যাৎ করা ও জাতীয় নেতাদের হত্যার জন্য মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে শান্তিনগর, কাকরাইল, প্রেসক্লাব, পুরানা পল্টন, শাহজাহানপুর, কমলাপুর, মতিঝিল, মালিবাগ, ফকিরাপুলসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। সেদিন রাত ১০টা পর্যন্ত হামলা চালানো হয়। এতে বিএনপির শত শত নেতা–কর্মী আহত হন এবং যুবদলের নেতা শামীমকে হত্যা করা হয়।
জাহাঙ্গীর আলম ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরুল্লাহ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সিমিন হোসেন রিমি, ওবায়দুল কাদের প্রমূখ এই মামলার আসামি।