এক বছর আগে প্রেমের টানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে টাঙ্গাইলের সখীপুরে আসেন শাহনাজ খাতুন (২৫) নামের এক নারী। এসে উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের আমির আলীর ছেলে আলামিনকে (২৮) বিয়ে করেন। প্রায় এক মাস আগে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা শাহনাজকে একটি ভাড়া বাসায় রেখে প্রেমিক স্বামী আলামিন এখন পলাতক।
এদিকে সম্প্রতি শাহনাজ ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন। স্বামীকে ছাড়া ১৪ দিন বয়সী ওই নবজাতককে নিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। ভারত থেকে আসার সময় বাবার বাড়ি থেকে চার লাখ টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে এসেছিলেন, সেগুলোও নিয়ে গেছেন আলামিন।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার শাহনাজ খাতুন বাদী হয়ে সখীপুর থানায় স্বামী আলামিনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের সাত্তোর গ্রামের শাহজাহান আলীর মেয়ে বলে জানিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ ও শাহনাজের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের আলামিনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেয়ে শাহনাজের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সময় আলামিন বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক এ কথাটি গোপন রেখে শাহনাজের সঙ্গে প্রেম চালিয়ে যান। একপর্যায়ে শাহনাজ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২০২৩ সালের ২১ এপ্রিলে টাঙ্গাইলের সখীপুর চলে আসেন।
এ দিকে আলামিন বিষয়টি বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে শাহনাজকে উপজেলার বড়চওনা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় রেখে বিয়ে করেন। একপর্যায়ে শাহনাজ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। ১৪ দিন আগে ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন তিনি। কিন্তু স্বামী আলামিন তাঁকে রেখে পালিয়ে যাওয়ায় নবজাতককে নিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। পরে উপায়ান্তর না দেখে গতকাল সোমবার সখীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা আলামিনকে দিয়ে শুধু আমার সন্তানের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করে দেন। কোনো ব্যবস্থা না হলে, আমি আর আমার ছেলে মরে যাব। তারপরও দেশে ফিরে যেতে পারব না।’
এ বিষয়ে সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতীয় ওই নারী ও তাঁর শিশুসন্তানের খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকেও এ বিষয়ে তদারকি করতে অনুরোধ করেছি। আমরা তাঁর স্বামী আলামিনকে খুঁজে বের করব।’