অনলাইন ডেস্ক
প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ‘আলোকিত মানুষ চাই’ ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি আগামী জানুয়ারি থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি চালু রাখা এবং প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের দাবিতে রাজধানীতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কর্মচারীরা ভবনের সামনে গণ-অনশন করছেন।
আজ শনিবার সকাল থেকে তাঁরা কর্মসূচি শুরু করেছেন।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গণগ্রন্থাগার পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ বছরের ডিসেম্বরে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন এই প্রকল্পের মেয়াদ ইতিমধ্যে দুই দফা বাড়ানো হয়েছে। নতুন করে বাড়ানোর সম্ভাবনা কম। প্রকল্পটির আওতায় ৬ লাখের বেশি বই আছে।
দেশজুড়ে ‘আলোকিত মানুষ চাই’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ঘুরে ঘুরে পাঠকের হাতে বই পৌঁছে দিতে ও পাঠাভ্যাস বাড়াতে এ কর্মসূচি পরিচালিত হয়ে আসছে। এখন মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গেলে বিপুলসংখ্যক বই নষ্ট হবে। ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারের গাড়িগুলোও অলস বসে থাকবে।
ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার কর্মসূচি শুরু হয় ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের নিজস্ব উদ্যোগে। পরে প্রায় দুই দশক কর্মসূচির আওতায় ৪৬টি গাড়ি (ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার) দেশের আনাচকানাচে গিয়ে পাঠকদের হাতে বই তুলে দিয়েছে। একপর্যায়ে কেন্দ্রের একার পক্ষে প্রকল্পটি চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। ২০১৭ সালে এসে কর্মসূচির পরিধি কমানো হয়।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে কর্মসূচিতে যুক্ত হয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন গণগ্রন্থাগার। যৌথভাবে প্রকল্পটি এগিয়ে নেওয়া হয়। যুক্ত করা হয় আরও ৩০টি গাড়ি। এখন ৭৬টি গাড়ি নিয়ে কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। প্রথম দফায় ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচির মেয়াদ বাড়ানো হয়।