টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সখিনা আক্তার (৪২) নামের এক নারীকে নিজ বাড়িতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই নারীর সাবেক স্বামীসহ দুজনকে আটক করেছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাঁশতৈল পশ্চিমপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন—সখিনা আক্তারের সাবেক স্বামী বাঁশতৈল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মফিজুর রহমান (৪৭) এবং একই গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে লেবু মিয়া (৫০)।
স্থানীয়রা বলছে, পাঁচ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তালাক হয়ে যাওয়ায় দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে ওই বাড়িতে বাস করতেন সখিনা বেগম। মেয়ে দুজনের বিয়ে হওয়ায় প্রবাসী ছেলের বউ নিয়েই ওই বড়িতে থাকতেন তিনি। ছেলের বউ বাড়িতে না থাকায় রোববার রাতে সখিনা আক্তার বাড়িতে একা ছিলেন। সোমবার অনেক বেলা হলেও সখিনাকে না দেখে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন খোঁজ করতে যান। পরে ঘরের ভেতরে তাঁর মরদেহ দেখতে পায় তারা। খবর পেয়ে বাঁশতৈল ফাঁড়ি পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সখিনার গলায় রশির দাগ এবং গলার ডান পাশে কালো দাগ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মৃত সখিনার মা আকিরন বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ে আত্মহত্যা করে নাই। ওরে হত্যা করা হইছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলায় রশির দাগ ও গলার ডান পাশে কালো দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।’