রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি বাসিন্দা ব্যবসায়ী ছমির মোল্লার শখ ছিল ছেলেকে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করাবেন। ১৫ বছর ধরে সৌদিপ্রবাসী ছেলে ইউসুফ মোল্লা (২৬) বাবার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করেছেন তিনি।
বর ইউসুফ মোল্লার বাড়ি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কাউনা গ্রামে। আর কনে একই ইউনিয়নের রাজধরপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সামিয়া আক্তার। ইউসুফ মোল্লা প্রথমে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়িতে করে যান রামদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে কনের বাড়ি যান। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে স্ত্রী সামিয়া আক্তারকে নিয়ে আবার হেলিকপ্টারযোগে বাড়ি ফেরেন তিনি।
তবে বাবার ইচ্ছা বাস্তবায়নে ইউসুফ মোল্লাকে গুনতে হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা। ঘণ্টাপ্রতি ১ লাখ ৫ হাজার টাকায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার জন্য ঢাকা থেকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হেলিকপ্টারটি ভাড়া করা হয়। হেলিকপ্টারের পাশাপাশি বরযাত্রী বহনের জন্য ছিল মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল।
এদিকে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসী সপ্তাহ ধরে আজকের দিনটির অপেক্ষায় ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা আইয়ুব মিয়া বলেন, ‘আমাদের এলাকায় এই প্রথম হেলিকপ্টার এল। তাও আবার বিয়ের বরকে নিতে। বিষয়টা ভালোই লেগেছ। তাদের দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়।’
বরের বাবা ছমির মোল্লা বলেন, ‘ছেলেকে তার ছোটবেলায় বলেছিলাম, বিয়েতে তাকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাব। সেই আশা আজ পূরণ হলো। হেলিকপ্টারের পাশাপাশি ঢাকা থেকে জোড়া ঘোড়ার গাড়িও এনেছি। খুব ভালো লাগছে আজ ইচ্ছাটা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। সব আইনগত বিষয় মেনেই এই আয়োজন করেছি।’
বর ইউসুফ মোল্লা বলেন, ‘বাবার ইচ্ছা ছিল আমাকে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করাবেন। সেই ইচ্ছাটা আল্লাহ পূরণ করেছেন। হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার অনুভূতিটা দারুণ। সবাই আমাদের দাম্পত্য জীবনের জন্য দোয়া করবেন।’