নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের মামলা বাতিল চেয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সাতজনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বিচারিক আদালতকে আগামী এক বছরের মধ্যে বিচার শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারীদের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। তবে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘এখানে অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা প্রতীয়মান হয়। দুই পক্ষকে শুনে আদালত তাঁদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। হাইকোর্টের এ আদেশের ফলে বিচারিক আদালতে মামলা চলবে।’
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলায় অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জ ও মামলা বাতিল চেয়ে ৮ জুলাই হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের সাত শীর্ষ কর্মকর্তা। ড. ইউনূস ছাড়া বাকি আবেদনকারীরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, সাবেক এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
এর আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে গত ১২ জুন ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ৩০ মে মামলাটি করে দুদক। এ মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।