‘আশা ছিল দুপুর বা সন্ধ্যায় যাত্রী বাড়বে। কিন্তু এমন অবস্থা, যাত্রী ডেকেও পাওয়া যাচ্ছে না। ঈদের আগের দিন এত কম যাত্রী হয়, এবারই প্রথম দেখলাম।’ বিস্ময়ের স্বরে কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার মাস্টার মিজানুর রহমান।
শুধু তিনিই নন, সায়েদাবাদে পরিবহন-সংশ্লিষ্টদের সবার মুখেই হতাশাব্যঞ্জক কথা। তাঁরা বলছেন, ৩০ রোজা হলে যাত্রী কম হয়, কিন্তু এত কম হবে ভাবেননি তাঁরা।
আজ বুধবার সায়েদাবাদ হানিফ পরিবহনের আরেক কাউন্টার মাস্টার মো. ইকবাল বলেন, ‘সকালে কিছু যাত্রী ছিল। এখন সেটাও নেই। সময় যত বাড়বে, যাত্রী চাপ তত কমবে। আমরা ট্রিপও সে জন্য এখন কমাব। যাত্রীর চাপ না থাকলে, বাড়তি গাড়ি ছেড়ে তো লাভ নেই। কিন্তু এমন অবস্থা কখনো দেখিনি।’
শ্যামলী কাউন্টারের মোফাজ্জল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাত্রী কম। সকাল থেকে অনেক গাড়িই ছেড়েছে। কিন্তু যাত্রী সেভাবে হয়নি। সকাল থেকে আমার কাউন্টারে মাত্র ১৩টা টিকিট বিক্রি করছি। সন্ধ্যা পর্যন্ত হয়তো যাত্রী পাওয়াই যাবে না।’
পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে চট্টগ্রাম যাচ্ছেন মাইনুল হক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত অফিস ছিল। তাই ভাবলাম আজ যাত্রীদের চাপ কম থাকবে, সে জন্য আজকে যাচ্ছি। যাত্রীর চাপ নেই, তাই যানজটহীনভাবে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরতে পারব বলে আশা করি।’
পরিবার নিয়ে সিলেট যাচ্ছেন আনিস মিয়া। তিনি বলেন, ‘আগে থেকে ঠিক করিনি। শুধু ভেবে রাখছি, ঈদের আগের দিন রওনা হব। তাই আজ সবাইকে নিয়ে বের হলাম। শেষ দিনে ঝামেলা একবারে কম থাকে।’