নারীবিষয়ক সংস্কারের জন্য এখন পর্যন্ত গঠিত সব সংস্কার কমিশনে সুপারিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। কমিশনের প্রথম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশের ৮ বিভাগে আটটি পরামর্শ সভা করার বিষয়েও একমত হয়েছেন কমিশনের সদস্যরা।
রাজধানীর দোয়েল চত্বরে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে আজ সোমবার দুপুরে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের বৈঠকটি হয়। কমিশনের পরবর্তী সভা হবে ১১ ডিসেম্বর।
কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক আজ সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য দুটি। বৈষম্য দূর করা এবং সমতা প্রতিষ্ঠা করা। আমরা সব সংস্কার কমিশনে আমাদের সুপারিশ পাঠাব। আট বিভাগে আটটি পরামর্শ সভা করব। এ ছাড়াও বিভিন্ন গ্রুপ ও পেশাজীবীর সঙ্গে আমরা আলোচনা করব। সবার মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশপত্র তৈরি করে কমিশনগুলোতে পাঠানো হবে।’
নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আইন সংস্কারের বিষয়ে কমিশন সুপারিশ করবে কি না জানতে চাইলে শিরীন পারভীন হক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা আইন সংস্কার কমিশনের কাছে সুপারিশ পাঠাব। নারীবিষয়ক সংস্কারের কাজগুলো ‘‘ক্রস ডিসিশন”। অন্য কমিশনগুলোও এর সঙ্গে যুক্ত। তাই আইনের বিষয়গুলো নিয়ে আইন কমিশনে, একইভাবে অন্য বিষয়গুলো নিয়ে সে-সংক্রান্ত কমিশনে সুপারিশ পাঠানো হবে।’
গত ১৭ অক্টোবর নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর গত ১৮ নভেম্বর নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠনের পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কমিশনের কার্যপ্রক্রিয়ায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করা হবে।