মানহানির অভিযোগে শাশুড়ির করা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভাষা কোর্সের খণ্ডকালীন শিক্ষিকা গুলশান আরাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এই অব্যাহতির আদেশ দেন।
আজ মামলাটির অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। আসামিপক্ষের আইনজীবী আল-মামুন রাসেল জাবি শিক্ষিকা গুলশান আরাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন। পরে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের শুনানি শেষে আদালত গুলশান আরাকে অব্যাহতি দেন।
গুলশান আরার আইনজীবী আল-মামুন রাসেল বলেন, একটি মিথ্যা মামলায় ফেঁসে গিয়েছিলেন গুলশান আরা। আজ সেটা থেকে অব্যাহতি পেলেন তিনি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার বাদী নাজমা বেগমের (৫৫) মেয়ে সাবরিনা হাসান স্বর্ণার (১৮) ছবি অনুমতি ছাড়া ভাবি গুলশান আরা (৩৭) সংগ্রহ করে তা নগ্ন ছবিতে রূপান্তর করেন। সেই ছবিগুলো ২০২২ সালের ৯ মে বাদীর মেয়ের বান্ধবী সুমাইয়ার কাছে পাঠান আসামি।
এ ঘটনায় ভাবি ও তার মেয়ের মানহানি ঘটেছে এই অভিযোগে বাড্ডা থানায় একটি মামলা করেন নাজমা বেগম। মামলাটি তদন্ত শেষে বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাসেল পারভেজ আসামি গুলশানা আরাকে অভিযুক্ত করে গত বছরের ৩০ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
আসামির আইনজীবী জানান, আসামির হারিয়ে যাওয়া মোবাইল সিমকার্ড ব্যবহার করে অন্য কেউ এ কাজটি করেছিলেন। পারিবারিক কলহের কারণে এই মামলার সৃষ্টি করা হয়েছিল।