নড়াইলের কালিয়ায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে। পরিবারের দাবি, স্বামীর ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। পুলিশ বলছে, মরদেহ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে সঠিক তথ্য জানা যাবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে কালিয়া উপজেলার চর ডুমুরিয়া গ্রাম থেকে।
গৃহবধূর নাম শারমিন আক্তার (২৫)। তিনি ওই গ্রামের শিহাব শিকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী।
পরিবার ও স্থানীয়রা বলছে, প্রায় আট মাস আগে নিহত শারমিন আক্তারের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় শিহাব শিকদারের। পরে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হলে দুই মাস আগে তাঁরা গোপনে বিয়ে করেন। এরপর স্ত্রী শারমিনকে বাড়িতে নিলে তিনি জানতে পারেন শিহাবের আগের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। এরপর থেকেই তাদের পারিবারিক ঝামেলা লেগে ছিল। এর জেরে কয়েক দিন আগে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান শিহাবের প্রথম স্ত্রী। এদিকে ঘটনার দিন সকালে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলাকে কেন্দ্র করে শিহাবের সঙ্গে আবার ঝামেলা হয় শারমিনের। পরে বিকেলে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় দেখেতে পান শিহাব ও প্রতিবেশীরা। পরে নড়াগাতি থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘরের ভেতরে আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় মরদেহটি ঝুলে ছিল। পরে মরদেহ উদ্ধার করে আজ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’