ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গত মঙ্গলবার গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের মশাল মিছিলে হামলা হয়। ছাত্র ইউনিয়ন এই হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করলেও ছাত্রলীগের দাবি—রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বসানো ‘মেট্রো অ্যাট টিএসসি: থ্যাংক ইউ শেখ হাসিনা’ লেখা সংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁদের মারধর করেছে।
পরদিন বুধবার ছাত্র ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ অভিযোগ তুলে রাজু ভাস্কর্য কালো কাপড়ে ঢেকে দেয় ছাত্রলীগ। আজ শনিবার রাজু ভাস্কর্যের সেই কালো কাপড় সরিয়েছে ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) নেতা-কর্মীরা।
বিকেলে ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সাংগঠনিক সম্পাদক রেজোয়ান হক মুক্ত, সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রীতম ফকির, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক লাভলী হক, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সৌরভসহ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কালো কাপড় সরিয়ে ফেলে।
সংগঠনটির একাংশের সভাপতি দীপক শীল ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মাহির শাহরিয়ার রেজা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, গত বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যকে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা কালো কাপড়ে ঢেকে দেয়। মূলত আগের দিন পাহাড়ে চার ছাত্রনেতা হত্যার প্রতিবাদে মশাল মিছিলে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করে। এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে ছাত্র ইউনিয়নের ওপর সন্ত্রাসী তকমা দিয়ে রাজু ভাস্কর্যকে কালো কাপড়ে ঢেকে দেয় এবং ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়।
ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবারও দ্বিতীয় দফায় ছাত্র ইউনিয়নের নেতাদের ওপর হামলা হয়। হামলায় আহত হন—ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) ঢাবি সংসদের সভাপতি মেঘমল্লার বসু (২৭), সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ (২৫), ঢাকা মহানগর সহসাধারণ সম্পাদক তাজমির তাজওয়ার শুভ্র (২৬) ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সদস্য শাহরিয়ার শিহাব (২৩)।
উল্লেখ্য, ছাত্র ইউনিয়নের দুটি অংশ রয়েছে। একটি অংশের নেতৃত্বে রয়েছে দীপক শীল ও রাকিবুল হল রনি। অপর অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন রাগীব নাঈম ও তাসবিবুল গণি। রাগীব নাঈম ও তাসবিবুল গণীদের অংশ গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটে রয়েছে। ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে যারা হামলার শিকার হয়েছেন তারা সকলেই রাগীব-গণীদের অংশের।