প্রতিনিধি, ঢামেক
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় একটি মোটর গ্যারেজে থাকা প্রাইভেট কারের ভেতর থেকে দুই কর্মচারীকে অচেতন উদ্ধারের পর মৃত্যু ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হয়।
নিহতরা হলেন, কুমিল্লার কদুয়া গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে সিয়াম মজুমদার (২০)। সে সেগুনবাগিচায় কুরবান মটরসে কাজ করতেন। অপরজন ফরিদপুরের মুন্সিডাঙ্গা গ্রামের হানিফ শেখের ছেলে রাকিব (১৭)। সে বাচ্চু অটোমোবাইলস নামে গ্যারেজে কর্মরত ছিল। নন্দীপাড়ায় গ্যারেজ মালিক বাচ্চুর বাসায় থাকত সে। ।
জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গ্যারেজ মালিক তাঁদের দুজনকে গাড়ির ভেতর অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা পৌনে ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
গ্যারেজ মালিক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, তাঁরা দুজন পাশাপাশি গ্যারেজে কাজ করত। বেশির ভাগ সময়ই রাতে তাঁরা বাসায় যেত। মাঝে মাঝে বেশি কাজ থাকলে গ্যারেজেও থাকত। গতকাল সোমবার বেশি কাজ থাকায় তাঁরা দুজন গ্যারেজের সামনে একটি প্রাইভেটকারে মধ্যে ঘুমিয়ে যায়। এর আগে তাঁরা দুজন হোটেলে রাতের খাবার খায়।
মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে আসা সিয়ামের চাচী নাজমা বেগম বলেন, আমাদের বাসা ধোলাইপাড় এলাকায়। গ্যারেজ মালিক জহিরুল ইসলামের ভাতিজা সিয়াম। তাঁদের সঙ্গেই থাকত সিয়াম। গত রাতে বেশি কাজ থাকায় গ্যারেজে থাকতে বলেন তাঁর চাচা। এর আগেও মাঝে মাঝে গ্যারেজে থাকত সিয়াম। কিন্তু কীভাবে সিয়ামের মৃত্যু হয়েছে সেটা বুঝতে পারছি না।
মৃত রকিবের খালা শাহনাজ বেগম বলেন, রাকিবের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছি। রাকিব বাচ্চু মিয়ার গ্যারেজে কাজ করত। তাঁর বাসাতেই থাকত। এক ভাই এক বোনের মধ্যে রাকিব ছিল বড়।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। তাঁদের শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে ঘটনাটি তদন্তের জন্য শাহবাগ থানা-পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।