নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানী ও মহাখালী টোলপ্লাজা ১৮ জুলাই ও ১৯ জুলাইয়ের সহিংসতার সময় আগুনে পুড়েছে । তবে ওই ঘটনার ১০ দিন পার হলেও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সেতু বিভাগ।
সেতু বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মনজুর হোসেন আজ রোববার বনানীতে সেতু ভবনের সামনে সকালে আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এটির নির্মাণ ও পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড ও সেতু বিভাগ চাইছে যত দ্রুত সম্ভব এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু করতে। বনানী ও মহাখালী টোল প্লাজা ম্যানুয়ালি চালু করার চিন্তাও আছে আমাদের। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখানে চায়নার প্রকৌশলীরাও কাজ করছেন। তাঁরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছেন।’
১৮ জুলাই ও ১৯ জুলাই দুই দিন আগুন দেওয়া হয় বনানীর সেতু ভবনে। দুর্বৃত্তদের আগুনে ভবনে নানা অবকাঠামো এমনভাবে পুড়ে গেছে যে গণপূর্ত বিভাগ, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ ভবনটি আপাতত ব্যবহারের অনুপযোগী বলে জানিয়েছে সেতু বিভাগকে।
মনজুর হোসেন বলেন, ‘ভবন কতটা ব্যবহার উপযোগী সে বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মতামত দেবেন। এখানে সরকারের
সাতটা অধিদপ্তর কাজ করছে। পুলিশের ক্রাইম সিন সংগ্রহ শেষে তাদের মতামত ও ফায়ার সার্ভিসের ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর আমরা ভবনের ভেতরে আমাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারব।’
আগুনে সেতু ভবনের ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনই ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। তবে ৪০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে।