ফরিদপুরে গভীর রাতে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘর থেকে চৌধুরী সাব্বির আলী নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছেন এলাকাবাসী। পরে ওই নেতাকে মারধর করা হয়। ঘটনার দুদিন পর এর কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই আওয়ামী লীগ নেতা সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। উপজেলা সদরে তার প্রভাব বিস্তার রয়েছে এবং আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।
জানা গেছে, গত রোববার রাতে জেলা সদরের গেরদা ইউনিয়নের গোকাইল গ্রামের বাসিন্দা এক প্রবাসীর বাড়িতে যান সাব্বির চৌধুরী। পরে এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে রাত ১টার দিকে দুই সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরের ভেতর থেকে আটক করে তাকে। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন মুঠোফোনে সেই দৃশ্য ধারন করে রাখে। পরে এলন লাভার (Alone Lover) নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিও প্রকাশ করা হয়। যা রীতিমতো ভাইরাল।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, প্রবাসীর স্ত্রীর কক্ষে এক কোনে নিশ্চুপ বসে আছেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা। তার পাশেই ওই প্রবাসীর স্ত্রী পায়চারী করছেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন উত্তেজিত হয়ে মারধরও করতে থাকে।
ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মিলন হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার দিন গভীর রাতে ওই মহিলার প্রতিবেশী রফিক মোল্যা ফোন দিয়ে আমাকে বিষয়টি জানায়। পরে রাতেই আমরা গিয়ে দেখি তাকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা হয়েছে। এরপর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আয়ূব হারিস মিয়া তাকে নিয়ে যায়।’
কারা ডেকে নিয়েছিল? এ বিষয়ে তাদের নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
ওই নারীর সঙ্গে পারিবারিক কোনো সম্পর্ক আছে কি-না এবং গভীর রাতে কেন গিয়েছেন? জানতে চাইলে বলেন, ‘মেয়েটা আমার এলাকার, আত্মীয় না। বিষয়টি নিয়ে নিউজ কইরেন না।’
বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ভিডিও দেখিইনি এবং কি হয়েছে কিছুই জানিনা।’