ঢাকার আশুলিয়ায় আজ রোববার প্রায় সব কারখানাই খোলা ছিল। এসব কারখানার শ্রমিকেরা যথাসময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে কাজ করছেন। তবে নানা কারণে ১৭টি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ ছিল।
পুলিশ জানায়, শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় রোববার ১১টি কারখানা বন্ধ ছিল। শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করায় রোববারের জন্য ছুটি ঘোষণা করে ছয়টি কারখানা।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও আশুলিয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা আগের মতোই অব্যাহত রয়েছে। কারখানার আশপাশের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। বিভিন্ন কারখানার সামনেও তাঁদের অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
জানা যায়, গতকাল রোববার বেলা ১টার দিকে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। পুলিশ তাঁদের নিবৃত করার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টার ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত তিনজন শ্রমিক আহত হন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, ‘পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় প্রায় সব কারখানাই খুলে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকেরা কাজও করছেন। গুটিকয়েক কারখানার অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। শ্রমিকেরা কাজ করতে আগ্রহী। কিন্তু কারখানা মালিকদের আন্তরিকতার অভাবে সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।’
শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, ‘আজকে মোট ১১টি কারখানা শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ আছে। আর ছয়টি কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব কারখানা বন্ধ আছে সেগুলো চালু করতে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। পারস্পরিক সৌহার্দ্যের মধ্য দিয়ে যাতে কর্ম চাঞ্চল্য ফিরে আসে সেটার প্রচেষ্টা চলছে।’