মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (এআরএসএ–আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীকে চার সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব–১১। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে আজ বুধবার জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লী আবাসন এলাকায় চার মাস আগে বাসা ভাড়া নেন আতাউল্লাহ। তিনি চট্টগ্রামের মাছ ব্যবসায়ী পরিচয়ে বাড়ির মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন। জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে দেরি করছিলেন। ১৭ মার্চ রাত ৩টায় ওই এলাকার ৬ নম্বর সড়কের একটি বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটতলার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন তিনি। বাড়ির মালিক ইতালিপ্রবাসী। কেয়ারটেকার তাঁর ফ্ল্যাটের দেখভাল করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা আতাউল্লাহর বিষয়ে সন্দেহ করেননি। তাঁরা জানিয়েছেন, আতাউল্লাহ সাধারণ জীবনযাপন করতেন এবং কিছুটা শারীরিকভাবে অসুস্থ মনে হতো। তিনতলার ফ্ল্যাটের মালিক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্যের মাধ্যমে আতাউল্লাহ আমার বাসা ভাড়া নেন। তাঁকে অপরাধী ভাবার প্রশ্নই ওঠেনি।’
কেয়ারটেকার ইমরান জানান, আতাউল্লাহর বাসায় ৮-১০ জন থাকতেন। তিনি লাঠির সাহায্যে চলাফেরা করতেন।