সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ভোট। তবে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের সরকারি কদমরসুল কলেজ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন বেশ কয়েকজন নারী ভোটার।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোটকক্ষের সামনে অপেক্ষমাণ ৩০ থেকে ৪০ জন নারী, যাঁরা সকাল ৮টা থেকেই অপেক্ষা করছেন ভোট দেওয়ার জন্য। সবাই চেঁচামেচি করছেন। কারণ কেউ জানেন না তাঁর ভোটকক্ষ কোনটি। দোতলায় গেলে পাঠানো হয় তিনতলায়। আবার তিনতলা থেকে পাঠানো হয় দোতলায়।
এমন দোতলা-তিনতলায় অন্তত এক ঘণ্টা যাবৎ ওঠানামা করেছেন হোসনে আরা নামের এক নারী। শুধু তিনিই নন, এমন অনেক ভোটার জানেন না তাদের কক্ষ কোনটি। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরাও হিমশিম খাচ্ছেন তাঁদের সামাল দিতে। ভোগান্তির শিকার হয়ে একাধিক নারী ভোটার বিরক্ত হয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করে চলে গেছেন।
শিউলি বেগম নামের এক নারী ভোটার বলেন, ‘সকাল থেকে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, কিন্তু ভোট দিতে পারিনি। দোতলায় গেলে বলে তিনতলায় যেতে, আবার তিনতলায় গেলে নিচে পাঠিয়ে দেয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ মানুষ। এতক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না। ভোট দিতে এসে এমন কষ্ট হবে জানি না।’
কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করা প্রিসাইডিং অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, ভোট দিতে আসা বেশির ভাগ নারীরই সিরিয়াল নম্বরের সঙ্গে আঙুলের ছাপ মিলছে না। কারণ, বাইরে থেকে সিরিয়াল নম্বর দিয়ে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু তাঁরা এই কেন্দ্রের নয়। তাই এমন বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।
কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আমান বলেন, ‘এই ভুলগুলো দেখার দায়িত্ব তো আমার নয়। তার পরও হট্টগোলের আওয়াজ শুনে ওপরে উঠে এসেছি। আমি দেখছি কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়।’