ঢাবি প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা।
আজ শুক্রবার দুপুরে শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। প্রায় ২০ মিনিট শাহবাগ অবরোধ করে রাখা হয়।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে জড়ো হতে থাকেন পাহাড়ের জনগোষ্ঠীরা। টিএসসিতে জড়ো হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশেও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা। এ সময় বিভিন্ন দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে তাদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। শাহবাগ ও রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান ও বিক্ষোভ চলাকালে সংবিধানে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন কার্যকরের দাবি জানান তাঁরা। পাশাপাশি পর্যটনের নামে ভূমি দখলের প্রতিবাদও জানানো হয়।
শাহবাগে অবস্থানকালে অ্যাকটিভিস্ট সতেজ চাকমা বলেন, ‘বিভাজন তৈরি করে, সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিকায়ন করা হয়েছে। আমরা এর থেকে মুক্তি চাই। পাহাড়ে শান্তি চাই। আমাদের প্রান্তিক করে রাখার জন্য সংঘাত বাঁধানো হচ্ছে। রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, এটা আমরা আশা রাখব।’ সরকার পাহাড়ের আদিবাসীদের সমস্যাকে গভীরভাবে অনুধাবন করে এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও আশা রাখেন সতেজ।
এদিকে বিকেলে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শিক্ষার্থী সমাজের ব্যানারে’-ভারতীয় মদদে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থির করার লক্ষ্যে উপজাতিয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কর্তৃক বাঙালিদের হত্যা, মসজিদে হামলা, লুটপাট বন্ধ ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে একদল শিক্ষার্থী। এ সময় শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে চার দফা দাবি পেশ করেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। লারমা স্কয়ারে অন্তত ৬০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পাহাড়ি-বাঙালি উত্তেজনা শেষে রাতভর গোলাগুলিতে তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৯ জন। বর্তমানে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।