অতিরিক্ত দামে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের মামলায় আজিমপুর মাতৃসদন হাসপাতালের সাত চিকিৎসকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে দুদক। মঙ্গলবার কমিশন সভায় অভিযোগপত্রের অনুমোদন দেয় সংস্থাটি। দুদক সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। খুব শিগগিরি আদালতে চার্জশিট দাখিল করবে বলে জানান তিনি।
অভিযোগপত্রে আসামিরা হচ্ছেন, আজিমপুর মাতৃসদন হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইসরাত জাহান, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার সাবেক অধ্যক্ষ ডা. পারভীন হক চৌধুরী, আজিমপুর মাতৃসদনের সাবেক জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মাহফুজা খাতুন, সাবেক সহকারী কো-অর্ডিনেটর ডা. চিন্ময় কান্তি দাস, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাবেক মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল ইসলাম, আজিমপুর মাতৃসদনের মেডিকেল অফিসার (শিশু) ডা. বেগম মাহফুজা দিলারা আকতার ও ডা. নাজরীনা বেগম, সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম।
এ ছাড়া চার্জশিটে তিন ঠিকাদার হচ্ছেন, মেসার্স মনার্ক এস্টাব্লিশমেন্টের স্বত্বাধিকারী ফাতেনূর ইসলাম, নাফিসা বিজনেস কর্নারের স্বত্বাধিকারী শেখ ইদ্রিস উদ্দিন (চঞ্চল), সান্ত্বনা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী নিজামুর রহমান চৌধুরী।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিগণ পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মেডিসিন অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট টেন্ডারের এর মাধ্যমে ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা লঙ্ঘন বর্তমান বাজারদর আমলে না নিয়ে গঠিত বাজার কমিটির প্রথম মনগড়া ও ভিত্তিহীন দরকে বিবেচনায় নিয়ে এমআরপি ওয়েবসাইট এর উত্তরপত্র মূল্যায়নের মাধ্যমে মালামাল ক্রয় করে মোট এক কোটি ২৮ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৪১ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
এ ছাড়া আরও তিন অর্থ বছরে আজিমপুর মাতৃসদনে কেনাকাটায় দুর্নীতির তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান দুদক সচিব।