অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হবে কিনা সে বিষয়ে শুনানি আবারও পিছিয়ে আগামী বছর ৩১ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার দুইটি পৃথক আদালত এই তারিখ ধার্য করেন।
ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের অস্ত্র মামলার তারিখ ধার্য করেন। অন্যদিকে ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের মাদক মামলার তারিখ ধার্য করেন।
আজ দুই মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। সম্রাট আদালতে হাজিরা ছিলেন। তার আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হিরা অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। দুই আদালতের বিচারক পৃথকভাবে সময় মঞ্জুর করেন।
এই দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি গত বছর ২৭ নভেম্বর ধার্য ছিল। ওইদিনও সম্রাটের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়। এরপর কয়েকটি তারিখে শুনানি পেছানো হয়।
২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম আসে। এরপর থেকেই তাকে নিয়ে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। অভিযান শুরুর পর হাইপ্রোফাইল কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হলে সম্রাট আত্মগোপন করেন। এসবের মধ্যে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাট ও আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে ঢাকায় এনে তাদের করা হয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ।
ওই দিন দুপুর ২টার দিকে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে বাহিনীটির একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে। এসময় তার কার্যালয় থেকে অবৈধ পশুর চামড়া, পিস্তল এবং অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। কার্যালয়ে অবৈধভাবে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
পরদিন র্যাবের ডিএডি আব্দুল খালেক অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনার পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগেও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। বর্তমানে সবগুলো মামলায় সম্রাট জামিনে আছেন।