কিশোরগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা মোখলেছ উদ্দিন ভূঁইয়াকে বাসা থেকে ডেকে এনে গলায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন মিজান শেখ। এরপর সহযোগীদের মাধ্যমে লাশ পাথরে বেঁধে নদীতে ফেলে দেন তিনি। মিজান শেখ ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমানের খাসকামরায় এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ছাত্রলীগ নেতা মোখলেছ হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার মিজান শেখ। বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা।
আদালতে দেওয়া আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই মোখলেছকে এলাকার মানুষ মূল্যায়ন করত। এ ছাড়া মিজানের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা পেতেন মোখলেছ। এলাকার মানুষ মোখলেছকে বেশি মূল্যায়ন করায় মিজানের মনে হিংসা জন্ম নেয়।’
ওসি আরও বলেন, ‘মিজান ঘটনার দিন রাতে মোখলেছকে বাসা থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে এসে জেলার শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজসংলগ্ন ওয়াচ টাওয়ারের পাশে বসে আড্ডা দেন। মিজান ও তাঁর সহযোগী মিলে আড্ডা দিতে পৌরসভা কার্যালয়ের পেছনে নরসুন্দা নদীর ফুট ওভারব্রিজের নিচে নিয়ে যান মিজানকে।’
‘আড্ডার মাঝেই মোখলেছের গলায় ছুরি চালিয়ে দেন মিজান। পরে মিজান ও তাঁর সহযোগীরা মিলে মোখলেছের লাশ বস্তায় ভরে পাথরের ব্লক বেঁধে নদীতে ফেলে দেন।’ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাতে ওসি এসব কথা জানিয়েছেন।