হোম > সারা দেশ > ঢাকা

‘বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো ছিল’

রিফাত মেহেদী, সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি 

‘এখন যদি চাকরিও করতাম, মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় থাকত। কিন্তু এখন আমাদের মর্মান্তিক জীবন; যে জীবনে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো ছিল।’ চোখের কোণে জমে থাকা জল আর চেহারায় হতাশা নিয়ে কথাগুলো বলেন সাভারের রানা প্লাজায় আহত শ্রমিক নিলুফা বেগম।

নিলুফা বেগম রানা প্লাজা ভবনের পঞ্চম তলায় ফ্যান্টম গার্মেন্টসে সুইং অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। দুর্ঘটনায় তাঁর ডান পায়ের অর্ধেক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অর্ধগলিত সেই পা রক্ষা পেয়েছে। এখন বিশেষ সহায়ক জুতা পরে খুঁড়িয়ে হাঁটতে হয় নিলুফাকে। পঙ্গুত্ববরণে ৬ বছরের মাথায় স্বামী শহিদুল ইসলামও ছেড়ে চলে গেছেন।

পরিবারে আছে ১৭ বছরের একমাত্র ছেলে রিফাত পাটোয়ারি। ছেলেকে ড্রাইভিং শেখালেও বয়স কম হওয়ায় লাইসেন্স না পেয়ে এখনো উপার্জন শুরু করতে পারেনি। অল্প পুঁজিতে ফুটপাতে ব্যবসা শুরু করলেও সেটি এখন বন্ধ।

১১ বছর আগের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৬ জন পোশাকশ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার শেষ হয়নি এখনো। ক্ষতিগ্রস্তরা সবাই ফিরতে পারেননি স্বাভাবিক জীবনে। নিলুফার বলেন, ‘সারা বছর কিন্তু আমাদের কেউ খোঁজখবর নেয় না—আমরা খাইলাম, না বাঁচলাম, না মরলাম! এই দায়িত্বটা কার ছিল? দায়িত্বটা ছিল প্রথমে গার্মেন্টস মালিকপক্ষের; দ্বিতীয়ত, সরকারের; তৃতীয়ত, সাভারের এমপি-মন্ত্রীর। কিন্তু আমাদের খোঁজখবর কেউ নেয় না।’

নিলুফারের মতো অসহায় জীবন যাপন করছেন অনেকেই। আরেক আহত শ্রমিক জেসমিন বলেন, ‘১১ বছর ধরে সেই দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছি। অথচ এখনো দোষীদের শাস্তি হয়নি।’

অপ্রশস্ত সেতুতে ভোগান্তি

ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর বিরুদ্ধে থানায় জিডি

সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেলের কারখানা পরিদর্শনে ভোক্তা-অধিকারের কর্মকর্তারা

আন্তকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মাইলস্টোন কলেজের সাফল্য

পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

ব্রির ছয় দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা শুরু

সিরাজদিখানে কুকুরের কামড়ে ৫ শিশুসহ আহত ১৫

সাবেক এমপির নামফলক ভেঙে গণপিটুনি খেলেন শ্রমিক দল নেতা

নাগরপুরে আ.লীগ নেতা কুদরত আলী গ্রেপ্তার

ইসমাইলের মৃত্যু: ডেলটা হেলথ কেয়ারের চিকিৎসকসহ ৫ জন কারাগারে

সেকশন