নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা)
ঢাকার আশুলিয়ায় আজ রোববার অধিকাংশ পোশাক কারখানা চালু রয়েছে। তবে শ্রমিকেরা কাজ না করায় বেশ কিছু কারখানায় ছুটিও দেওয়া হয়েছে।
শিল্প পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে আশুলিয়ার সব কারখানা খোলা ছিল। শ্রমিকেরা যথাসময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত হন। তবে কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা কাজ না করে বসে থাকেন। তাঁরা মালিকপক্ষের কাছে বিভিন্ন দাবিদাওয়া পেশ করেন।
পুলিশ জানায়, যেসব কারখানার শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে বসেছিলেন, দুপুর ১২টার দিকে কর্তৃপক্ষ ওইসব কারখানা ছুটি দিয়ে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আশপাশের অনেক কারখানা ছুটি দেয়। বিকেল ৪টায় সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে আজ শিল্পাঞ্চলের ৩৪টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আরও কয়েকটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়ে থাকতে পারে।
বেলা ১টার দিকে নরসিংহপুর এলাকার হা–মীম গ্রুপের কারখানা বন্ধ পাওয়া গেছে। পাশের শারমিন গ্রুপের কারখানার ভেতর থেকে শ্রমিকদের হট্টগোলের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল। আর কারখানার ফটকের সামনেই সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যদের দেখা যায়। পরে কর্তৃপক্ষ ছুটি দিয়ে দেয়।
কয়েক দিন ধরে আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কারখানার নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুরো শিল্পাঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন কারখানার সামনে সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশ, এপিবিএন পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। এ ছাড়া নবীনগর–চন্দ্রা ও আবদুল্লাহপুর–বাইপাইল সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।
পোশাক কারখানার একজন মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শ্রমিকেরা নানা দাবিতে প্রায় প্রতিদিনই আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তাঁরা কখনো কারখানার বাইরে, কখনো কারখানার ভেতরে আন্দোলন করছেন। এসব নিয়ে মালিকপক্ষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তাই যেসব কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়, নিরাপত্তার স্বার্থে ওই সব কারখানা ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়।
এসপি মোহাম্মদ সারোয়ারা আলম আরও বলেন, ‘কখন যে কোন কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয় তা আঁচ করা যায় না। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন কারখানায় পর্যায়ক্রমে এসব শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটে। আজ একটি কারখানায় শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।’