নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাফুফের সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ির বিষয়ে আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, প্রতিবেদন প্রস্তুত হওয়ার পরও দুদক তা আদালতে দাখিল করছেন না। এটা আদালত অবমাননার শামিল।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আমি তো যেনতেনভাবে প্রতিবেদন দিতে পারি না। পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। এ সময় আদালত বলেন, বার বার সময় নিচ্ছেন। আদেশ সত্ত্বেও প্রতিবেদন দিচ্ছেন না, এটা আদালত অবমাননার শামিল। পরে প্রতিবেদন দিতে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেন আদালত।
গত ২০ জুলাই জানানো হয়, আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে অভিযোগের অনুসন্ধান শেষ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। অনুসন্ধান প্রতিবেদন দুদক কার্যালয়ে দাখিল করা হয়েছে। যা পর্যালোচনাধীন। কমিশন অনুমোদন দিলেই এ প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হবে বলে জানানো হয়।
রাজধানীর গুলশানে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে পরিত্যক্ত বাড়ি দখলের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ৩০ অক্টোবর রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে তা অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে গুলশানের ওই বাড়ি নিয়ে দুই রকম তথ্য দেয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
রাজউকের দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, আব্দুস সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকায় নেই। তাই বাড়িটি অবমুক্ত করার প্রশ্নই ওঠে না। বাড়িটি রাজউকের সম্পত্তি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
অন্যদিকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই এলাকায় রাজউকের লে-আউট নকশায় কথিত বাড়িটির অস্তিত্ব নেই। সুকৌশলে ওই এলাকার ১০৪ নম্বর রোডে অবস্থিত ওই বাড়িটি ১০৩ নম্বর রোড দেখিয়ে জাল কাগজপত্র সৃজনপূর্বক হস্তান্তর, নামজারিসহ অন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
পরবর্তীতে সরকারের দুই সংস্থার দুই ধরনের তথ্য আসায় দুর্নীতি দমন কমিশনকে নিরপেক্ষ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।