অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা মো. আবুল হাসেমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই আদেশে আবুল হাসেমের স্ত্রী শারমিন সুলতানাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের বিশেষ পিপি রেজাউল করিম রেজা।
পিপি জানান, আবুল হাসেম ও তাঁর স্ত্রী শারমিন সুলতানা হাইকোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। শুনানি শেষে আদালত শারমিনকে জামিন দেন। হাসেমের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২ ডিসেম্বর হাইকোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিন চাইলে হাইকোর্ট আগাম জামিন দেন ৬ সপ্তাহের জন্য। এই সময়ের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোসলেহ উদ্দিন জসিম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, হাসেম ও তাঁর স্ত্রী শারমিনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়ার পর ২০২০ সালে শারমিন সুলতানাকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করার জন্য নোটিশ দেয় দুদক। একই বছরের ২২ জুন শারমিন সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
সম্পদ বিবরণীতে তিনি মোহাম্মদপুরের একটি ফ্ল্যাট, ১৩০০ সিসির একটি প্রাইভেট কার, সোনালী ব্যাংকের ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার স্থিতি ও নগদ ৯৫ হাজার ২০০ টাকার সম্পদ রয়েছে বলে দাবি করেন।
কিন্তু দুদক অনুসন্ধান করে জানতে পারে আসামি শারমিন সুলতানা সর্বমোট ৯৩ লাখ ১২ হাজার ৩৬৪ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন যার কোনো বৈধ আয়ের উৎস ছিল না।
এ ঘটনায় ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এর উপসহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আবুল হাসেম অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করে তার স্ত্রীর নামে সম্পদ করেছেন, ব্যাংকে টাকা রেখেছেন ও পারিবারিক ব্যয় করেছেন। পারিবারিক ব্যয় বাদ দিয়ে তাঁদের কাছ ৩৬ লাখ ৭৩ হাজার ৯১৪ টাকা অবৈধ সম্পদ গচ্ছিত রয়েছে।