দুই বছর আগে ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন।
বিকেলে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দীপঙ্কর তালুকদারকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক ফেরদৌস আলম।
আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু এদিন মামলার মূল নথি না থাকায় শুনানি হয়নি। পরে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং মূল নথি পাওয়া সাপেক্ষে রিমান্ড ও জামিন শুনানির আদেশ দেন।
এদিকে হাতকড়া, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট পরিয়ে দীপঙ্কর তালুকদারকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার পর আদালতের এজলাস থেকে হাজতখানায় নেওয়া হয়। এ সময় পুলিশি কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তিনি কিছু বলতে চান কি না প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘এখানে কথা বলার সুযোগ নেই। কথা বললে সামনের দিকে আগাতে হবে। কী কথা বলব।’
এর আগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোবহানবাগ থেকে সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদারকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করে বিএনপি। একই দিনে আওয়ামী লীগও পাল্টা সমাবেশ ডাকে। পরে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।
দীপঙ্কর তালুকদার ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙামাটি আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে একই আসন থেকে ১৯৯৬ সালে সপ্তম, ২০০৮ সালে নবম ও ২০১৮ সালে একাদশ ও ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। নবম জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।