ঢাকা শহরে জনসংখ্যার অনুপাতে ২ হাজার ৪০০ খেলার মাঠ থাকা দরকার। কিন্তু খেলার মাঠ আছে মাত্র ২৩৫টি। এর মধ্যে শিশুদের প্রবেশগম্যতা আছে বা শিশুরা ব্যবহার করতে পারে মাত্র ৪২টি মাঠ।
আজ শনিবার ‘শিশুবান্ধব নগর শিশুর অধিকার; বাস্তবায়ন আমাদের অঙ্গীকার’ শীর্ষক সংসদীয় আরবান ককাস গঠনবিষয়ক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের আয়োজনে জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে মাঠ বা বিনোদনকেন্দ্র তৈরি করা। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সরকারের এসব দিকে নজর আছে।’
সভায় শিশুর অধিকার বাস্তবায়নে সংসদীয় আরবান ককাস কমিটি গঠনের দাবি তুলে ধরা হয়। ওয়ার্ল্ড ভিশনের ডিরেক্টর ফিল্ড অপারেশন লিমা হানা দারিং জানান, দেশে ১১ লাখ ৫০ হাজার পথশিশু আছে। শিশুশ্রমে জড়িত ১৭ লাখ শিশু , যারা স্বাভাবিক জীবন পাচ্ছে না। শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সবকিছু থেকেই তারা বঞ্চিত।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বলেন, ‘শিশুশ্রম নিরসন এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতিটি শিশুর মুখে হাসি ফোটানো আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব।’
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, পথশিশুরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে ৷ আমাদের সেই দিকটাতে নজর দিতে হবে। শিশুদের নিরাপত্তা একটা বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়গুলো আরও কাজ করা প্রয়োজন।
সভায় শিশু সুরক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কমিটির কার্যক্রম মনিটরিং, প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি ক্লিনিকের আদলে স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের দাবি জানানো হয়।