নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নগর বাউল জেমস, 'মাইলস' ব্যান্ডের হামিদ আহমেদ ও মানাম আহমেদের করা মামলায় বাংলালিংকের চার কর্মকর্তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস তাঁদের জামিন দেন।
আজ সকালে আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির সিইও এরিক অ্যাস, চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার নুরুল আলম, করপোরেট রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান, হেড অফ ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস অনীক ধর ও ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেডের চার কর্মকর্তা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চায় টেলিকম প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের জামিন দেন।
তবে সেপ ডিজিটাল অফিসার সঞ্জয় ভাগাশিয়া আজ আদালতে হাজির হননি। আগামী ৬ ডিসেম্বর আদালত আবার শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন। ওই দিন সঞ্জয় ভাগাশিয়াকে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত নভেম্বরে জেমস এবং হামিদ ও মানাম আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। আদালত বাংলালিংকের কর্মকর্তাদের সশরীরে হাজির হতে সমন জারি করে আজকের তারিখ ধার্য করেন।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল আজকের পত্রিকাকে জানান, দুই মামলায় বাংলালিংকের চার কর্মকর্তা হাজির হলে আদালত তাঁদের জামিন দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জেমসের অসংখ্য জনপ্রিয় গান আছে। তাঁর কাছ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি না নিয়েই জেমসের গান ওয়েলকাম টিউন, বিজ্ঞাপনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহার করে আসছে বাংলালিংক। তাঁদের এই কর্মকাণ্ড কপিরাইট আইন ভঙ্গের শামিল। এ কারণে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান জেমস।
এর আগেও ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি একই আদালতে মামলা করতে গিয়েছিলেন। আদালতের পরামর্শে তিনি মামলা না করে ফিরে যান।
একই সময়ে জনপ্রিয় ব্যান্ড দল মাইলসের কম্পোজার ও গায়ক হামিদ আহমেদ ও মানাম আহমেদ একই অভিযোগে বাংলালিংকের ওই পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।