সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে (সিংগাইর-হরিরামপুর-সদর আংশিক) আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীর দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে হেরে গেছেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। তাঁর এই পরাজয় নিয়ে গোটা দেশেই চলছে আলোচনা। এদিকে এই আসনের সাধারণ ভোটার ও নেতা-কর্মীরাও নিজেদের মতো করে বিশ্লেষণ করছেন মমতাজের হারের বিষয়টি।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে বিজয়ী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ জাহিদ আহমেদ টুলু ৮৮ হাজার ৩০৯ ভোট এবং মমতাজ বেগম ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট পেয়েছেন।
সিংগাইর ও হরিরামপুর উপজেলার সাধারণ ভোটার, এলাকাবাসী ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা জানান, পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতি, তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন, কমিটি গঠনে স্বেচ্ছাচারিতা, আওয়ামীপন্থী নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানদের মূল্যায়ন না করা, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিনকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দেওয়া মমতাজের পরাজয়ে ভূমিকা রাখতে পারে।
সেই সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্দ্বও ভোটারদের মধ্যে প্রভাব ফেলে বলে মনে করেছেন অনেকে। নিজের কর্মিবাহিনী দিয়ে স্বামী ডা. মঈন হাসানের ওপর হামলার অভিযোগ, বাবা প্রয়াত মধু বয়াতির প্রথম স্ত্রী ও তিন কন্যার টুলুর পক্ষে অবস্থান এর উল্লেখযোগ্য।
আবুল ইসলাম শিকদার আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রবাসী ভাইদের রেমিট্যান্স নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যও তাঁর হারের একটি কারণ হতে পারে। এদিকে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত আওয়ামী লীগ নেতা না হলেও এলাকায় দান করা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা জাহিদ আহমেদ টুলুর পক্ষে কাজ করে। টুলু আওয়ামী লীগ নেতা হলেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী না হওয়ায় আওয়ামীবিরোধী সেন্টিমেন্টও তাঁর পক্ষে যায়। এর পাশাপাশি নির্বাচনের মাঠে টুলুর প্রচুর জনসংযোগও তাঁর জয়ে ভূমিকা রাখে বলে মনে করেন এই অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক।