রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসা থেকে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। তাঁরা হলেন জনতা ব্যাংকের সাবেক গাড়িচালক শফিকুর রহমান (৬০) ও তাঁর স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন (৫০)।
ফরিদা ইয়াসমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় দোতলার ঘর থেকে আর শফিকুরকে উদ্ধার করা হয় বাসার গ্যারেজ থেকে।
বিষটি নিশ্চিত করেছেন যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান। তিনি বলেন, দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হত্যাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা করছি। তবে হত্যার কারণ জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ফজরের নামাজের আগে বা পরে ঘটনাটি ঘটেছে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য অপরাধীরা আগে থেকেই এই বাসায় অপেক্ষা করছিল। তারা প্রথমে শফিকুরকে হত্যা করে থাকতে পারে। পরে দোতলায় উঠে তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করে। বাসার নিচের প্রধান ফটক ও ঘরের দোতলার দরজা খোলা ছিল। শফিকুরের কাছে বাসার প্রধান ফটকের চাবি পাওয়া গেছে। বাসার পেছনের দেয়াল লাগোয়া একটি ভবন বেয়ে এই ভবনে ওঠা যায়।
পুলিশ বলছে, ডাকাতির জন্য এই হত্যাকাণ্ড, নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বাসার ভেতরে সব আলমারি খোলা পাওয়া গেছে।
ডিএমপির ওয়ারি (ডেমরা-যাত্রাবাড়ী) জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) নাহিদ ফেরদৌস বলেন, ‘সকালে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোমেনবাগে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।’
ডাকাতি নাকি হত্যা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডাকাতির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এটা পরিকল্পিত হত্যা বলে আমাদের মনে হচ্ছে। আমরা কাজ করছি। বিস্তারিত এখনই বলা যাচ্ছে না।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শফিকুর-ফরিদা দম্পতি পশ্চিম মোমেনবাগের আড়াবাড়ী বটতলায় নতুন একটি চারতলা বাড়ি তৈরি করেছেন। তাঁরা দোতলায় থাকতেন। নিচতলার একপাশ এবং তিন ও চারতলা ভাড়া দেওয়া। এই দম্পতির একমাত্র ছেলে পুলিশের বিশেষ শাখার (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) উপপরিদর্শক (এসআই) ইমন ও তাঁর স্ত্রী একই বাসায় মা-বাবার সঙ্গে থাকেন। গতকাল বুধবার রাতে ইমন তাঁর দাদাবাড়ি ফেনী এবং তাঁর স্ত্রী নিজের বাবার বাড়িতে চলে যান।