আজাদুল আদনান, ঢাকা
স্বামীর সঙ্গে বিরোধের জেরে আত্মহত্যার চেষ্টায় চলন্ত লঞ্চ থেকে লাফ দিয়েছেন এক নারী। তবে লঞ্চের কর্মচারীদের সহায়তায় বাঁচানো গেছে সেই নারীকে। মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে বরিশালগামী পারাবাত-১০ লঞ্চে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় লঞ্চেই ছিলেন এ প্রতিবেদক।
ঘটনার সময় লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জের রেল ব্রিজ এলাকা অতিক্রম করছিল। আত্মহত্যার চেষ্টাকারী সুমাইয়ার (৩২) বাড়ি বরিশালের চরমোনাই।
প্রত্যক্ষদর্শী শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নদীতে লাফ দেওয়ার আগে স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন তিনি। এ সময় উচ্চ স্বরে ওই নারী কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে চার বছরের সন্তানসহ লঞ্চ থেকে লাফ দিতে যান। তবে ওই নারীর মা শিশুটিকে টেনে ধরলে, সন্তানকে রেখেই একাই নদীতে লাফ দেন সুমাইয়া।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের আরও কয়েকজন জানান, নদীতে লাফ দিলে লঞ্চের যাত্রীরা চেচামেচি করতে থাকে এবং লঞ্চ থামাতে বলে। পরে লঞ্চ থামিয়ে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় সেই নারীকে উদ্ধার করা হয়। লঞ্চ কর্তৃপক্ষের এমন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন তাঁরা।
লঞ্চের মাস্টার গিয়াসউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে ওই নারী লাফ দেন। আমরা জানতে পেরেছি, ফোনে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার একপর্যায়ে সন্তানসহ মরতে যাচ্ছিলেন। পরে ওই নারীর মা শিশুটিকে আটকাতে পারলেও নারীটি লাফ দেন। পরে পাশের লোকজন আমাদের জানালে দ্রুত লঞ্চ থামাই এবং কোস্ট গার্ড পুলিশে খবর দেই।’
পরে রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন কোস্ট গার্ডের স্থানীয় গোয়েন্দা প্রতিনিধি শাহাজুল ইসলাম। লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়ে বরিশালে নামাতে বলেন।
আজকের পত্রিকাকে শাহাজুল ইসলাম বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধের কারণে ওই নারী মরতে যাচ্ছিলেন। লঞ্চ মাস্টার খবর দিলে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে লঞ্চের স্টাফদের সহযোগিতায় ওই নারীকে জীবিত উদ্ধার করি। লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছি, একই সঙ্গে নারীর সঙ্গে থাকা তাঁর মাকেও সাবধানে থাকতে বলেছি।’