যানবাহন চলাচলের জন্য আজ সকাল ছয়টা থেকেই পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকেই মাওয়া টোল প্লাজার সামনে যানবাহনের চাপ ছিল, কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই চাপ কমে গেছে। তবে মাওয়া টোলপ্লাজার আগে উৎসুক জনতার ভিড় আছে। সবাই পদ্মা সেতু নিজ চোখে দেখতে চান, কেউ আবার হাঁটতে চান। অনেকেই মোটরসাইকেল ভাড়া করে পদ্মা সেতুর এপার-ওপার ঘুরে আসছেন।
আজ যানবাহন চালু হওয়ার পরে সেতুর দুই পাশ থেকেই ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে মোটরসাইকেল। প্রতিটি মোটরসাইকেলে দুজন করে যাত্রী নিয়ে পদ্মা সেতু দেখানো হচ্ছে। এর ফলে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তবে এতে উচ্ছ্বসিত পদ্মা সেতু দেখতে আসা মানুষ।
এমনই একজন সেলুন ব্যবসায়ী জামাল শেখ ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এসেছেন শুধু পদ্মা সেতু দেখার জন্য। মাওয়া থানার সামনে তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এসেছি শুধু পদ্মা সেতু একবার দেখার জন্য। টেলিভিশনে অনেক দেখেছি, সামনাসামনি একনজর দেখতে চাই, পাড়ি দিতে চাই সেতু। সাড়ে ৩০০ টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল ঠিক করেছি। সেতুর ওই পারে নিয়ে যাবে, নিয়ে আসবে। ঘুরে দেখব, পারলে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তুলব।’
নারায়ণগঞ্জ থেকে পদ্মা সেতু দেখার জন্য এসেছেন মাওলানা খোকন মিয়া। তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিল—কেন পদ্মা সেতু দেখতে চান, এটা একটা স্বপ্নের সেতু, অনেক দিনের ইচ্ছা পদ্মা সেতু দেখার। আমি পদ্মা সেতুতে হাঁটতে চাই। কিন্তু হাঁটার নাকি সুযোগ নেই, তাই মোটরসাইকেল ভাড়া করে পদ্মা সেতু ঘুরে দেখব।’
উৎসব মানুষজনকে পদ্মা সেতু ঘুরতে নিয়ে যাওয়া এমন একজন মোটরসাইকেলচালক রিফাত হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেতু চালু হওয়াই সাধারণ মানুষ আসছেন, পদ্মা সেতু দেখতে চাচ্ছে, তাই ঘুরতে নিয়ে যাচ্ছি আমরা। তবে সেতু চালুর প্রথম দিন হিসেবে এই সুযোগ আমাদের দেওয়া হয়েছে এরপর থেকে এসে হয়তো থাকবে না।’
তবে হাইওয়ে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাওয়া থানার সামনে থাকলেও কোনো ধরনের বাধা দিতে দেখা যায়নি মোটরসাইকেল দুই থেকে তিনজন যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, প্রথম দিন মানুষের আগ্রহ বেশি। তাই আমরা কিছুটা ছাড় দিচ্ছি।